প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

প্রতিষ্ঠাকাল ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়নের দোলেশ্বর গ্রামে বুড়িগঙ্গা নদীর পাশ ঘেষে অত্যন্ত মনোরম ও স্নিগ্ধ প্রাকৃতিক পরিবেশে দোলেশ্বর কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আলহাজ্ব এম.এ আউয়াল সাহেব ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি দোলেশ্বর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। শুরুতে যার শিক্ষার্থী ছিল ৩৭ জন।

 

বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পেছনে আলহাজ্ব এম.এ আউয়াল সাহেবের যে মূল মন্ত্রটি কাজ করেছিল তা হলো “এক জনকে আর্থিক দান মানসিক রুগ্নতা বাড়ায়। কিন্তু কাউকে শিক্ষিত করে স্বাবলম্বী জীবন-যাপনে সহযোগিতা হচ্ছে চিরস্থায়ী দান”।

 

বিদ্যালয়টির জমি ক্রয় ও নাম নিয়ে যখন সমস্যা দেখা দিল তখন সেই সময় মরহুম আফজাল খাঁ ওরফে কালু খাঁ (০৭) সাত শতাংশ জায়গা স্বেচ্ছায় স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য দান করে এক বিরল মানসিকতার পরিচয় দেন।

 

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক ০১/০১/০১৯৮৬ সালে বিদ্যালয়টি স্বীকৃতি লাভ করে।

 

প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য “ দোলেশ্বর কল্যাণ সংস্থা” নামক একটি পরিচালনা পরিষদ গঠন করে। প্রথম কার্যনির্বাহী পরিষদ ২৮/১০/১৯৮৬ তারিখ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশক্রমে ১৫/১২/১৯৮৬ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে।

 

৩৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২০০+ জন, শিক্ষক সংখ্যা ৪০ জন এবং কর্মচারীর সংখ্যা ০৫ জন। বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মান, খন্ডকালীন শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি দোলেশ্বর কল্যাণ সংস্থা বহন করে। শুধু তাই নয়, পাবলিক পরীক্ষা ও অভ্যন্তরীণ বার্ষিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের “ দোলেশ্বর কল্যাণ সংস্থা” এককালীন ও মাসিক বৃত্তি প্রদান করে থাকে।

 

 

বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ সুপরিসর। এখানে রয়েছে কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরি, বিজ্ঞানাগার, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম সহ শিক্ষা উপকরণ। যার ফলে অত্র এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়নে বিশেষ করে নারী শিক্ষার অগ্রগতিতে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। যার ফলে ২০০৬ সালে২০২০ সালে এস.এস.সি বোর্ড পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে কেরাণীগঞ্জ উপজেলায় ১ম স্থান অর্জন করে ।

 

সহশিক্ষা কার্যক্রমেও পিছিয়ে নেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। সকল জাতীয় উৎসব উদযাপন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, শিক্ষা সফর ও বনভোজন এবং বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ধারাবাহিকভাবেই চলে আসছে।